বিশ্বে অকাল মৃত্যুর চতুর্থ ঝুঁকিতে রয়েছে বায়দূষণ। ২০১৩ সালে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর কারণে বিশ্বায়ন অর্থনীতিতে শ্রম আয়ে প্রায় ২২৫ বিলয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বায়ুদূষণে অর্থনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত নতুন এক সমীক্ষায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
‘দ্য কস্ট অফ এয়ার পলিউসান : স্ট্র্যাংদেনিং দ্য ইকোনোমিক কেস ফর অ্যাকশন’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক ও দ্য ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভাল্যুসান (আইএইচএমই) যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ তাদের জীবন হারিয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, বায়ুদূষণজনিত কারণে সৃষ্ট রোগে মৃত্যুর ফলে প্রধানত ছোট ছেলেমেয়ে ও বয়স্কদের মধ্যে বেশি প্রভাব পড়ে। কারণ অকাল মৃত্যুর কারণে কর্মজীবী নারী ও পুরুষদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের অন্যরা দুর্দশায় পড়ে।
সমীক্ষায় বলা হয়, এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে যে পরিমাণ শ্রম আয়ের ক্ষতি হয়, তা জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ (শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ)। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে তা জিডিপির শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়, ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়নের অঞ্চলসমূহে বায়ুদূষণে অকাল মৃত্যুর হার বেশি। গৃহে কঠিন (সলিড) জ্বালানি ব্যবহার ও ঘরে তাপ দেয়ার কারণে এসব মৃত্যুর কারণ সম্পর্কযুক্ত।
সমীক্ষা অনুসারে নিম্ন আয় ও মধ্যম আয়ের দেশের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ বায়ুদূষণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।