প্রকাশ : ২৫ আগস্ট, ২০১৬ ০৭:৩৬:১৬আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০১৬ ১০:১২:৩১
বায়েজিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে
আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন চার বছরের ‘বৃদ্ধ’ বায়েজিদের কয়েকটি স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তার চিকিৎসা শুরু হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ষষ্ঠ তলার ৬০১/এ নম্বর কেবিনে গিয়ে বাবা লাভলু সিকদার ও মা তৃপ্তি বেগমের সঙ্গে দেখা যায় বায়েজিদকে। এ সময়ে সে স্বাভাবিক শিশুর মতোই আচরণ করছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে।
বায়েজিদের চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তার বাবা লাভলু সিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, “প্রায় ২০ দিন হলো এখানে এসেছি। এর মধ্যে ডাক্তার বায়েজিদের ১৯টি পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচটি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। বাকি প্রতিবেদন এখনো পাইনি।” হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট বলে হোল অ্যাবডোমেন ও ব্রেনের সিটি স্ক্যান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
পেশায় রংমিস্ত্রি লাভলু সিকদার বলেন, বাড়ি থেকে একজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার করে নিয়ে এসেছিলাম। তা প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাড়িতে গিয়ে কাজকর্ম না করতে পারলে টাকা চলার টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।
বায়েজিদের মা তৃপ্তি বেগম বলেন, “ওকে নিয়ে আমি একা সামলাতে পারি না। তাই সব সময় ওর বাবাকে সঙ্গে থাকতে হয়। কিন্তু টাকা-পয়সা না থাকলে চলব কীভাবে। এখান থেকে (হাসপাতাল) থেকে খাবার ও চিকিৎসা ফ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও কিছু খরচ থাকে।”
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, বায়েজিদের চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলোর অপেক্ষা করছি। তারপর দেখা যাক কী হয়। এমনিতে বায়েজিদের শরীর খুব দুর্বল।’
গত ৬ আগস্ট মাগুরা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় বৃদ্ধ শিশু বায়েজিদ। চার বছর আগে বৃদ্ধের মতো চেহারা নিয়েই ভূমিষ্ঠ হয় বায়েজিদ। দিন দিন তার শরীরে বার্ধক্যের ছাপ আরও প্রকট হতে থাকে। জন্মের পর স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়ে কোনো ফল পাননি তারা। মাগুরা সদর হাসপাতালে গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিরল প্রোজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বায়েজিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা বাবা-মা।