জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত ও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে দেশের সব বিমান, নৌ ও স্থল বন্দরে সতর্কতা জারির পর কাজ শুরু করেছে মেডিকেল টিম। সোমবার সকাল থেকেই যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসা দল যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।
চলতি বছর ব্রাজিলে ছড়ায় মশাবাহিত জিকা ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে গর্ভবতীরা মাইক্রোসেফালি রোগে আক্রান্ত হয়, যার ফলে শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়। এই রোগের এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসার উদ্ভব হয়নি।
ব্রাজিল থেকে এই ভাইরাসটি আমেরিকা, ইউরোপের পর এখন এশিয়া মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। বিশ্বে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। জিকার কারণে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে সন্তান গ্রহণ স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে এখনও কারও জিকায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে ১০ বাংলাদেশি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর পরপরই বাংলাদেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছেন, জিকা আক্রান্ত কাউকে শনাক্ত করা গেলে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি উদ্যোগে ও খরচেই চলবে আক্রান্তের চিকিৎসা। এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে বলে জানিয়েছে সরকার।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন চার হাজারেরও মানুষ ভারতে যাতায়াত করে। ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রণয় সরকার ঢাকাটাইমসকে জানান, জিকা ভাইরাস আক্রান্তরা যেন কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন এ জন্য সতর্ক রয়েছেন তারা।
এই সরকারি কর্মকর্তা জানান, গর্ভবতীদেরকে বিশেষভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন তারা। তিনি বলেন, ভারত হয়ে যেসব বিদেশি গর্ভবতী নারী বাংলাদেশে আসছেন তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। এতে সহজে এ ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণাালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য কর্মীরা সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে। তাদের এ কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।