মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফর থেকে কী পেল বাংলাদেশ? জন কেরি বাংলাদেশে আসার আগেই এই সফর নিয়ে দেশের রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক আগ্রহ। সফর শেষ হওয়ার বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাই এ নিয়ে এখনো আলোচনা-সমালোচনা সর্বত্র। ৮ ঘণ্টার প্রায় ঝটিকা সফরে জন কেরি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে। অবশ্য সংসদে বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, নাগরিক সমাজ, তরুণ সম্প্রদায় ও শ্রমসংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও তার মতবিনিময় হয়েছে। মোট কথা দেশের সব শ্রেণির প্রতিনিধির সঙ্গেই জন কেরির কথাবার্তা, দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলতে চান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতিক সফর করে গেলেন।
তবে কেরি যতই ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি অনুসরণ করুন না কেন, এ সফরে বাংলাদেশের অর্জন নিতান্তই কম নয়। জন কেরি তার সফরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জনের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী এ দেশটির কোনো উচ্চপদস্থ পদবীধারী ব্যক্তির বোধহয় এই প্রথম সফরে ধানমন্ডির ৩২নং বাড়ির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলো। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর যে কেরির মনে দাগ কেটেছে তা বুঝা যায় প্রধানমন্ত্রীকে সান্ত¦¦না দেওয়া থেকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, ‘আমি আপনার মনের কষ্ট বুঝতে পারি।’ এছাড়া স্মৃতি জাদুঘরে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়েও যে মন্তব্য করেছেন, তা থেকেও বুঝা যায় বাংলাদেশের বিশেষ করে বর্তমান সরকারের প্রতি সেদেশের নমনীয় মনোভাবের। তিনি লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে তারই কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।’ টুইট বার্তায়ও বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।
এটা কে না জানে যে, হিলারি ক্লিনটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সেদেশের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। কথিত আছে যে, ২০১২ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সেই সময় গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. ইউনূস প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের সঙ্গে ওকালতি করে খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা তার হয়নি। যার ফলে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পদ্মাসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়। সুতরাং কেরির সফরকে কেন্দ্র করে বর্তমান সরকারের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব আপাতদৃষ্টিতে যতই নমনীয় বলা হোক না কেন, এর মূল সফলতা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী সরকারের মানসিকতার ওপর। সেই সঙ্গে এ কথাও সত্য যে, এই হিলারি ক্লিনটন যখন ২০১২ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেন তখন মূলত তার সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিয়মিত কৌশলগত সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে দুদেশের মধ্যে কয়েকবার এ ধরনের সংলাপ অনুষ্ঠিতও হয়েছে। তবে এ ধরনের কৌশলগত সংলাপের মধ্য দিয়ে কোন দেশের স্বার্থের পাল্লা ভারী হচ্ছে, তার মূল নিয়ামক হচ্ছে কূটনৈতিক সক্ষমতা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে এমন কোনো সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেনি, যাতে করে মনে হতে পারে এ ধরনের সংলাপের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতভাবে লাভবান হচ্ছি। উপরন্তু এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতির ব্যবধানও বেড়েছে। তারপরও এই সফর থেকে একদম যে কোনো কিছুই প্রাপ্তির সুযোগ নেই, তেমনটাও ভাবার কারণ নেই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে কেরিকে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশ দীর্ঘ ৩ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি থেকে বঞ্চিত। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও তাকে বেশ জোরালোভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ধরনের অনুরোধের মধ্য দিয়ে কেরির মধ্যে নিশ্চয়ই এই বোধোদয় হয়ে থাকতে পারে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাশিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ ধরনের দাবিকে অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। ওবামা সরকারের হাতে সময় খুব কম থাকলেও তিনি যদি কেরির সফর পরবর্তী সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশকে জিএসপি ফিরিয়ে দেন এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যর্পণে ভূমিকা রাখেন তবে হয়ত পরবর্তী সরকারের জন্য তাদের জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধা বয়ে আনতে পারে।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হয় ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি অন্যতম কৌশলগত সহযোগী মনে করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপরীতে যদিও তারা অবস্থান নিয়েছিল, তথাপি স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথমদিককার রাষ্ট্রগুলোর সারিতেও তারা নাম লেখায়। স্বাধীনতা লাভের পর অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্বকেই নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্রমাগত সাফল্য, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী নীতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি, বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামে সক্রিয় অংশগ্রহণ। এছাড়া ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত সংযোগ ও বঙ্গোপসাগর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশেষ কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। আর এসব কারণে আমরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় হতে দেখি। এখানে উল্লে¬খ করা প্রয়োজন, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত অংশীদার ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশকেও যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মূলত সন্ত্রাসবাদের অন্যতম উৎপত্তিস্থলে অবস্থিত হলেও এই দুটি দেশ নিরবচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই দুটি দেশের অব্যাহত সন্ত্রাসবাদবিরোধী নীতি এই অঞ্চল তথা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের ক্রমাগত হুমকি মোকাবেলায় মার্কিন সামর্থ্যকে আরও শক্তিশালী করবে।
তবে কেরি তার সফরের সূচনাতে বর্তমান সরকারের প্রশংসা করলেও প্রকারান্তরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের পেছনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাবকেও দায়ী করেছেন। তিনি বলে গেছেন, সন্ত্রাসীদের পরাভূত করতে হলে আমাদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন গুরুত্বপূর্ণ ৩ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ই এম কে সেন্টারে যে দীর্ঘ বক্তৃতা করেন তাতেই তা ফুটে ওঠে। সেখানে তিনি তার সফরের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অনেকটাই খোলাসা করেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয়ের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষারও তাগিদ দেন। বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। ঢাকায় দেওয়া বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলা করতে গিয়ে বিরোধী দলগুলোর কণ্ঠরোধ এবং জনসমক্ষে বিতর্ক বন্ধ করার প্রলোভনের ফাঁদে পা না দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জন কেরি বলেন, এখন পর্যন্ত সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের কাছে সবচেয়ে কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য পন্থা হচ্ছে গণতন্ত্র। সন্ত্রাসীদের পরাভূত করতে হলে আমাদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস-চরমপন্থা মোকাবেলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি তার বক্তৃতায় উল্লিখিত বিষয়গুলোর পারস্পরিক সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরেন। সেখানে গুলশান হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভয়াবহ ওই হামলার পেছনে জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের যোগসূত্র থাকার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ওই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই স্থানীয়, তবে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের যোগসূত্র থাকার বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বাংলাদেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশে বিভক্তি সৃষ্টিতে ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অবশ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। সেগুনবাগিচার কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, কেরি তার বক্তৃতায় বিষয়টি যত বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেছেন আলোচনায় সেটি সেভাবে আসেনি। তবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে সফরের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত তাগিদ ছিল বলে স্বীকার করেন কূটনীতিকরা। তাদের মতে, সরকারি পর্যায়ে আলোচনায়ও একাধিকবার বিষয়গুলো তুলেছেন তিনি। জঙ্গিবাদ বা উগ্রপন্থার উত্থান ঠেকাতে এটি জরুরি বলে মত দিয়ে গেছেন মার্কিন মন্ত্রী। বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী করার তাগিদও ছিল তার। এখানে সহিংস-চরমপন্থিদের অপতৎপরতা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে গোয়েন্দা তথ্যসহ যে কোনো সহায়তার প্রস্তাবের বিষয়টিও তিনি পুনরুল্লেখ করে গেছেন।
বিরোধী জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে বৈঠক মার্কিন দূতাবাসে হয়, সেখানেও কেরির নজরে এসব বিষয় আনা হয় বলে জানা যায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাতে বলা হয়, দুই নেতার আলোচনায় কেরি বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপর জোর দিয়েছেন, যেখানে সবার মত প্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। জঙ্গিবাদের মতো হুমকি মোকাবেলায় কেরি বাংলাদেশের সব মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর জোর দিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সুতরাং জন কেরি যেমন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, তেমনি বিরোধী মত দলনে সরকারের কর্মকা-ের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি।