নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানি। নূর হোসেন বলাইয়ের ‘এই নিয়ে সংসার’ ছবি দিয়ে অভিষেক তার। টানা দশ বছর নিয়মিত কাজ করেন। শ খানেক ছবিতে অভিনয় করে হঠাৎ করেই নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবার ফিরে আসেন। এবার খলনায়ক চরিত্রে। কয়েক বছর পর খলনায়ক চরিত্র থেকেও ইস্তফা। এখন আবার নিয়মিত হয়েছেন তিনি। হাতে থাকা ১৪টি ছবির সবকয়টিতেই তার চরিত্র ইতিবাচক।
ওমর সানিকে খলচরিত্রে সেভাবে গ্রহণও করেনি দর্শক। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সমালোচিতও হয়েছেন। সানি বলছেন, তথাকথিত খলচরিত্রে অভিনয় করব না কখনো। যদি কোনো পরিচালক অন্যরকম গল্প নিয়ে হাজির হয়, যেখানে খলচরিত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারি। ওমর সানি এই মুহূর্তে কাজ করছেন ‘শতরূপে শতবার’ ছবির। জানালেন, সম্প্রতি তিনি মঈন বিশ্বাসের ‘বুলেট বাবু’ এবং ‘মার ছক্কা’ নামে দুটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন দিলশাদ শিমুলের ‘লিডার’, শাহীন সুমনের ‘মিয়া বিবি রাজি’ ছবিতে। শুরু করবেন মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’ এবং সোহানুর রহমান সোহানের নতুন একটি ছবির কাজ। ‘লাল সবুজের সুর’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। এ ছবিতে ওমর সানি প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন রেসির সঙ্গে। রেসি সম্পর্কে বললেন, রেসির সঙ্গে আগে কখনো কাজ করা না হলেও সে ভালো অভিনয় করে তা আমি জানি। মাঝে একটা বিরতির পর এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ওর ফিরে আসাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমাদের সিনেমার জন্য রেসির মতো অভিনেত্রীর প্রয়োজন আছে কারণ আমাদের সিনেমাতে রেসি আরও অনেক কিছু উপহার দিতে পারবে বলে আমি মনে করি। ‘লিডার’ ছবিতে সানি একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করছেন। ছবিতে দেখা যাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি।
সানি জানান, মৌসুমীর পরিচালনায় ‘শূন্য হৃদয়’ ছবির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জানালেন, পরিচালনায় আসার ইচ্ছা রয়েছে তার, তবে এখনই নয়। ঠিক কবে পরিচালনায় আসছি তা এখনই বলতে চাই না। তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে জানতে পারবে দর্শক। ছোট পর্দা থেকে যারা পরিচালনায় আসছেন তাদের প্রতি সানির পরামর্শ হলো, ‘তোমরা সিনেমা বানাও কিন্তু উন্নতমানের টেলিফিল্ম নির্মাণ কর না। শুধুমাত্র গুলশান-বনানীর সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টারের জন্য সিনেমা নির্মাণ কর না। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বাঙালির আবেগ ধরে এগিয়ে গেলেই তোমাদের সিনেমা সফলতা পাবে।’
সালমান শাহর অকাল মৃত্যুর পর ঢাকার চলচ্চিত্রে ওমর সানির আধিপত্য ছিল লক্ষণীয়। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। যদিও সালমান শাহ ও ওমর সানি প্রায় কাছাকাছি সময় চলচ্চিত্রে পা রাখেন। দীর্ঘ সময় রাজত্বের পর একসময় চলচ্চিত্র থেকে ওমর সানির বিদায় ঘটে। এরপর বছর দুয়েক আগে নায়কের পরিবর্তে খলনায়কের চরিত্রে আবির্ভাব ঘটে তার। অন্যদিকে তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী সবসময়ই তার আধিপত্য বজায় রেখেছেন। স্বামী ওমর সানির সঙ্গেই মৌসুমী জুটিবদ্ধ হয়ে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারও এ জুটিকে একসঙ্গে পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শক। প্রয়াত বেলাল আহমেদের ‘ভালোবাসবই তো’ ছবির মাধ্যমে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন এ দুই তারকা। যদিও ছবির সেন্সর সনদপত্র লাভে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অর্ধযুগ পর একসঙ্গে মৌসুমীর সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে ওমর সানি বলেন, ‘মূলত গল্পের প্রয়োজনেই বেলাল ভাইয়ের শেষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। তবে আমাকে এবং মৌসুমীকে কী ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সেটা আপাতত চমক হিসেবেই থাক। ছবিতে মৌসুমী অসাধারণ অভিনয় করেছে। আমার বিশ্বাস এ ছবিতে দর্শক নতুন এক মৌসুমীকে খুঁজে পাবে।’ মৌসুমী বলেন, ‘বেলাল ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমরা সবাই মিলে যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে কাজটি শেষ করেছি। কষ্ট হয় এই ভেবে যে, তিনি তার স্বপ্নের একটি কাজ দেখে যেতে পারলেন না। তবে আমার বিশ্বাস ভালোবাসবই তো ছবিটি দর্শকের খুব ভালো লাগবে।’ ওমর সানি ও মৌসুমী সর্বশেষ ২০০৯ সালে শাহীন সুমনের পরিচালনায় ‘সাহেব নামের গোলাম’ চলচ্চিত্রে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছিলেন। এরপর তাদের দুজনকে আর একসঙ্গে অভিনয়ে দেখা যায়নি।
বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানির। চলচ্চিত্রে অসংখ্য সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন দর্শক হৃদয়। তিনি এখনো ভালো গল্পের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। চলচ্চিত্রই তার ধ্যান-জ্ঞান। পর্দার ওমর সানি আর বাস্তবের ওমর সানির মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। ওমর সানি বলেন, ‘খুব দুষ্টু ছিলাম ছোটবেলায়। ক্রিকেট, ফুটবল ডাংগুলি সব খেলায় পারদর্শী ছিলাম। আবার মাঝেমধ্যে বন্ধুুদের সঙ্গে চলে যেতাম দূরে কোথাও। এখন আমার ছেলে স্বাধীনও খেলাধুলায় পারদর্শী হয়ে উঠছে। খেলার প্রতি আমার ছেলের আগ্রহ দেখে মাঝেমধ্যে আমিও ছেলেবেলায় ফিরে যাই। ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ ছিল আমার। পরিবারের উৎসাহ আর বাবার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে আমার কাজ করার সুযোগ হয়। প্রখ্যাত পরিচালক ও অভিনেতা দারাশিকোর হাত ধরে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পাই। ‘সুজন সখী’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি ওমর সানির ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি। কিন্তু কোনো কারণে মাঝপথে চলচ্চিত্রের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও আশা ছাড়েননি তিনি। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে শেখ নজরুল পরিচালিত ‘চাঁদের আলো’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবির সাফল্যের পর দেশি চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন ওমর সানি। এরপর তিনি একে একে কাজ করেন ‘কুলি’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘দোলা’সহ আরও অনেক দর্শকপ্রিয় ছবিতে। ভালোবেসে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখেই আছেন এই তারকাদম্পতি। চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সানি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মিডিয়া আর চলচ্চিত্রকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এই দুটি মাধ্যম আলাদা নয়। এখন কেউ কেউ চলচ্চিত্রের নামে উন্নত টেলিফিল্ম বানাচ্ছে। মূলধারার চলচ্চিত্র থেকে অনেকে সরে গেছে। আমি তাদের কাছে অনুরোধ করছি ‘আপনারা চলচ্চিত্র বানান।’ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অভিনয় একটি সাধনার বিষয়। অভিনয়ের প্রতি সম্মান ও পরিশ্রম থাকলেই সফল হওয়া সম্ভব।’ এদিকে বর্তমান চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে নির্মাতারা ওমর সানির ওপর আস্থা ফিরে পেয়েছেন। তাকে নিয়ে প্রযোজকরা নতুন ছবি নির্মাণের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টিকে ভালোভাবেই দেখছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ওমর সানি বেশকয়টি ছবিতে অভিনয় করছেন। ছবিগুলো হচ্ছেÑ অবলা নারী, রাজা ৪২০, রান আউট, লাল সবুজের সুর, ভালোবাসবই তো, আজব প্রেম, মিয়া বিবি রাজি, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২।
সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সম্পর্কে কি ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা চলচ্চিত্র বোঝে তারা ছবির সঙ্গে যুক্ত নেই। এমনকি গত ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে যারা চলচ্চিত্রে ভালো ব্যবসা করেছেন তাদেরও কেউ এখন আর ছবির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নেই। এখন যারা ছবি বানাচ্ছে তারা ছবি সম্পর্কে এবং দর্শক সম্পর্কে কিছুই বুঝছে না। তাদের যোগ্যতা হচ্ছে কম্পাউন্ডারের; ভাব দেখে মনে হয় এমবিবিএস ডাক্তার। এর বেশি আর কি বলব। চলচ্চিত্রে সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছবি না বানানোর তিনটা প্রধান কারণ আমার চোখে ধরা পড়ে। প্রথমটি শতভাগ ভিডিও পাইরেসি, দ্বিতীয়টি টেকনিক্যাল সাইডে আমাদের পিছিয়ে থাকা, তৃতীয়ত সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়া। এ ছাড়া আর কিছু কারণ আছে। পারিশ্রমিক নিয়ে প্রথম সারির নায়কদের গোয়ার্তুমি। এখন তা সবাই হরহামেশাই করছে। আমরা যখন ছবিতে অভিনয় করেছি তখন ৬ লাখ টাকা পারিশ্রমিকেও করেছি। আবার কখনো সাড়ে পাঁচ লাখ, কখনো বা তিন লাখ আর ক্ষেত্রবিশেষে আবার এক লাখেও সিনেমার কাজ করেছি। শুধু ছবির স্বার্থে, গল্পের প্রয়োজনে আমরা কম পারিশ্রমিক নিয়েছি। সে সময় আরও অনেকে এ কাজটি করেছে। সবাই চলচ্চিত্রের স্বার্থে পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আপস করেছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কেউ কোনো ধরনের গোয়ার্তুমি করিনি। তেলেগু তামিল ছবির প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বাংলাদেশের ছবির জন্য বাংলাদেশের গল্প লাগবে। ইদানীংকালের ছবিতে যার অভাবটা অনেক বেশি। শুধু গল্প নয়, আবেগ-অনুভূতি, প্রেম ভালোবাসা, স্টাইল সবকিছুই বাংলাদেশের লাগবে। মারামারিও বাংলাদেশি লাগবে। বাংলাদেশেও কিন্তু ড্রাগন ফলের গাছ আছে। কিন্তু এটা তো থাইল্যান্ডের ড্রাগন ফলের মতো হবে না।
তরুণদের মধ্যে কাদের অভিনয় তার ভালো লাগে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখন যাদের আমরা নায়ক বলছি, নায়িকা বলছি, ভিলেন বলছিÑঢাকার বাইরে কোথাও গেলে তাদের নাম বললে কেউ চেনে না। একটাই সমস্যা হয়ে গেছে, আমাদের ভেতরের জায়গাটা একেবারে ফাঁকা। এখানে আসলে কিছুই নেই। আমরা পায়ের আঙুল দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছি। রাশিয়ান মেয়েরা কিন্তু পায়ের আঙুলে ভর করে ড্যান্স করে। বাঙালি মেয়ের পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমাদের অনেকের খুব অল্প সময়ে ইয়ে ইয়ে ভাব চলে আসে। একটা বিজ্ঞাপন, একটা সিনেমা যদি কোনোভাবে কোনো একজনের হিট হয় তাহলে সেই মানুষটাকে ধরাছোঁয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। শূন্যে ভাসতে থাকে। আমরা এখনো ভাবি না, মৌসুমী কীভাবে এখনো মানুষের প্রিয় মুখ; সালমান শাহ, মান্নাকে এখনো মানুষ কেন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। ইদানীংকালের মধ্যে আরিফিন শুভকে নিয়ে শুধু কথা বলতে চাই। আমি শুভকে বলব, তার অভিনয়ের মধ্যে বাঙালিপনা ব্যাপারটি আরও বেশি আনতে হবে। সে খুব স্টাইলিশ। তার নাচের স্টাইল অনেক ভালো। কিন্তু এই স্টাইলের আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। গত কয়েকটা ছবিতে আমি তাকে একই স্টাইলে দেখেছি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সে কমেডি করতে চায়, এটা তাকে মানায় না। তবে সবকিছুর পরও আমি শুভর ব্যাপারে আশাবাদী। সুপারস্টার হওয়ার সব ধরনের গুণ শুভর মধ্যে শতভাগ আছে।
হালের সুপারস্টার শাকিব খান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে ইতিবাচক কথা বলতে চাই। সে আমার চেয়ে অনেক ভালো নাচে। সে আমার চেয়ে ভালো অভিনয় করে। আমার চেয়ে তার ভালো লুক আছে। তবে শাকিবকে তার ছবি নির্বাচনসহ অন্যান্য বিচারের জায়গায় আরও অনেক পারফেক্ট হতে হবে। নিজের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হঠাৎ করে চলচ্চিত্রে অবস্থান নেমে যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি সেটা খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছি। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র হতাশ হইনি। তথাকথিত অনেক শিল্পীই আছেন, ফ্লপ হতে হতে মার্কেট আউট হয়ে যান। আমি কিন্তু তা হতে দেইনি। আমি যখন চলচ্চিত্রের মেইন ধারা থেকে আউট হয়ে যাই তখন আমার অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তি পায়। তার মধ্যে ‘কুলি’ ছবিটি সুপারহিট ব্যবসা করেছে। তারপরও কেন আমি ছিটকে পড়লাম তা আজও বুঝতে পারিনি। আজকে কিন্তু ১৪টি ছবি আমার হাতে। প্রতিটি ছবিতে আমার চরিত্র ইতিবাচক। একটা সময় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতাম। ডিজিটাল ছবি শুরুর সময়টাতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় বন্ধ করে দেই। এরপর নিজেকে বোঝার চেষ্টা করতে থাকি। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলি। এখন তো ১৪টি ছবির কাজ করছি। আমরাও চাই একসময়ের সুপারস্টার ওমর সানির এই ফিরে আসা যেন হয় বাংলাদেশি সিনেমার উত্তরণ।